‘দাদাজী ধুনীওয়ালে’ পরম্পরায় দাদাজী মহারাজ কে শিবের অবতার ও ছোটে দাদাজী কে বিষ্ণুর অবতার মানা হয়।খন্ডওয়া তে দাদাজী মহারাজের সমাধির কাছে ছোটে দাদাজীর সমাধি স্থাপিত আছে। দাদাজী মহারাজের সাথে ছোটে দাদাজীর পরিচয় হয় সাঁইখেড়ায়। শ্রী ছোটে দাদাজী রাজস্থান নিবাসী ছিলেন। ১৮ বছর বয়স হবার পূর্বেই গুরুর খোঁজে তিনি গৃহত্যাগ করে। কাশীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন। রেলগাড়ী তে দাদাজী মহারাজের বর্ণনা শুনে ওঁর দর্শনের আশায় ব্যাকুল হয়ে ববই স্টেশনে নেমে পায়ে হেঁটেই সাঁইখেড়ার পথ ধরেন। সাঁইখেড়া পৌঁছে দাদাজী কে দেখেই তাঁর দিব্য অনুভূতি হয়ঃ আমার গুরুর খোঁজ আজ শেষ হল! দাদাজী কে প্রণাম করতেই দাদাজী ওনার পাগড়ী চাইলেন আর টিকিয়া প্রসাদ দিলেন ওনার হাতে।
২-৩ দিন পর শ্রী ছোটে দাদাজী যখন শ্রী দাদাজী মহারাজ কে প্রণাম করলেন, দাদাজী ওনার মাথায় এতো জোরে ডান্ডা মারতে লাগলেন যে ওনার মাথা থেকে রক্তপাত হতে লাগলো, উনি ঞ্জান হারালেন। দাদাজী ওঁকে এক কুঠুরি তে বন্ধ করে চাবি নিজের কাছে রেখে দিলেন। কয়েকদিন কেটে গেলো, দাদাজী মহারাজের শিষ্য রা চিন্তায় পড়লেন। দাদাজীর ভক্ত ভ্রমচারীজী দাদাজী কে ছোটে দাদাজীর জন্য অনুনয় বিনয় করে দরজা খোলালেন। দুর্বল ছোটে দাদাজীকে দাদাজী মহারাজের সম্মুখে আনা হলো। ছোটে দাদাজীর জখম ঘা হয়ে তাতে পোকা হয়ে গেছিল। দাদাজী নিজের চিমটে দিয়ে বের করে দিলেন, নিজের হাতে বিভূতির লেপ লাগালেন, নিজের ঘটি থেকে জল পান করালেন ও অন্ন খাওয়ালেন। দাদাজী যেন ছোটে দাদাজীর শরীরে দিব্য আত্মা প্রবেশ করিয়ে তাঁকে নতুন জন্ম দিলেন। দাদাজী সবাইকে ডেকে বললেনঃ “এই ছোড়া এখন থেকে আমার। এ আমার হরিহর “। সেদিন থেকে ক্রমান্বয়ে হরিহর ভোলে ভগবান, হরিহরানন্দ এবং শ্রী ছোটে দাদাজী নামে তিনি পরিচিত হন।
দাদাজী মহারাজ ছোটে দাদাজী কে বলেনঃ “কাড়ী (বেসন ও দই এর ব্যাঞ্জন) এর মতো কড়াই এ গুলে যেও, বড়ার মতো আটকে যেওনা”।
১৯৩০ সালে ছোটে দাদাজী বড়ই অসুস্থ হয়ে পড়েন। বড়ে দাদাজী মহারাজ এক মন লঙ্কা জ্বালিয়ে তাঁর ওপর থেকে অশুভ দৃষ্টি দূর করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলো প্রায় ২০০ লোক। আশ্চর্যজনক ভাবে এতো লঙ্কা জ্বালানোর পরেও কারো কাশি বা চোখ জ্বালা বোধ হলো না।
দাদাজী মহারাজের শিষ্যত্ব পেয়ে ছোটে দাদাজীও অলৌকিক শক্তির অধিকারী হয়ে উঠলেন। দাদাজী মহারাজের মতো তিনিও ভক্তদের আধ্যাত্মিক, মানসিক এবং আরও ব্যাপক ভাবে সামাজিক কল্যাণ করতে লাগলেন।
শ্রী ছোটে দাদাজী মহারাজের স্বভাব বড়ে দাদাজীর এক্কেবারে বিপরীত ছিলো। বড়ে দাদাজী যেমন ডান্ডা মেরে গালি দিয়ে মানুষের কল্যাণ করতেন, ছোটে দাদাজী কিন্তু সহজ ভাবে প্রেমপূর্বক মানুষকে বোঝাতেন ও তাদের কল্যাণ করতেন। বড়ে দাদাজীর ডান্ডা ও গালি খেয়ে ভক্তরা ছোটে দাদাজীর কাছে আসতো তার অর্থ জানতে। ছোটে দাদাজী বুঝিয়ে দিতেন এই গালি ও ডান্ডার আঘাতে তার কোন আসন্ন বিপদ দূর হলো।
এতোই সরলমনা ছিলেন ছোটে দাদাজী যে ভক্তরা ভালবেসে যা দিতো উনি আনন্দের সাথে পরে নিতেন। তা সে কোট হোক বা শেরওয়ানি, জুতো হোক বা মুকুট কিম্বা টুপি। ওনার শ্বাসকষ্ট ছিলো। বাংলার আসানসোল থেকে এক ভক্ত টানা রিক্সা নিয়ে এসে সেই রিক্সায় দাদাজী কে বসিয়ে দরবারে ঘোরাতে নিয়ে যেতো। ছোটে দাদাজীর একটা গ্রামাফোন ও ছিলো। উনি নিজে তো গান শুনতেনই, ভক্তদের, বিশেষ করে বাচ্চাদেরও শোনাতেন। বাচ্চাদের প্রতি যে কি ভালবাসা ছিলো ওনার! নিজের খাটের নীচে বাচ্চাদের শোওয়াতেন আর নৈবেদ্যর থালা এলেই সেই সুস্বাদু ভোজন খাটের নীচে আস্তে করে হাত দিয়ে ঠেলে পাঠিয়ে দিতেন, কেউ টের ও পেতো না। ছোটোদের সাথে ছোটে দাদাজী কে দেখলে মনে হতো যেন উনি ওদের চেয়েও ছোটো।
১৯৩০ সালের ডিসেম্বর মাসে বড়ে দাদাজী খন্ডওয়ায় সমাধি নিলেন। ছোটে দাদাজী ভক্ত শংকর লাল গুপ্তা, যে পেশায় উকিল, তাকে জমি কেনার জন্য কিছু টাকা দিয়ে রওনা করিয়ে দিলেন। জমির রেজিষ্ট্রেশন এর পরই উনি সমাধি নির্মাণ এর কাজ আরম্ভ করবেন। ভায়তি পরিবারের থেকে জমি কিনে কথামতো সমাধি নির্মাণের কাজ শুরু হলো। ছোটে দাদাজীর কথামতো রাজআনন্দ নামের এক ভক্ত সমাধি তে চুন লেপনের কাজ করলো। অঘ্রাণ এর ত্রয়োদশী তে দাদাজী মহারাজ সমাধি নিলেন, আর অঘ্রাণ পূর্ণিমায় ওনাকে সমাধিতে বিরাজমান করা হলো।
বড়ে দাদাজী সমাধিস্থ হলেন। ওনার দেওয়া আধ্যাত্মিক শক্তির অধিকারী হওয়ার কারণে ছোটে দাদাজী হলেন তাঁর উত্তরাধিকার।
দাদা দরবার স্থাপন হওয়ার পর খন্ডওয়ায় দত্ত ভগবানের আরতির বদলে মা নর্মদার আরতিগানের পরম্পরা শুরু করলেন ছোটে দাদাজী। বললেন- আমরা নর্মদাখন্ডী। তার সাথে শ্রী দাদা নাম মন্ত্র জপ ও শুরু করালেন। বিশ্বের সকল দাদা দরবার এ আজ যা এবং যতো মন্ত্র জপ হয়, সে সবের প্রারম্ভ হয় ছোটে দাদাজীর দ্বারাই।
লুগর নামে ছোটে দাদাজীর এক শিষ্য ছিলো, দাদাজীর নির্দ্দশে যার পকেটে রাখা ছিলো একটি চামড়ার জুতো, যে কারণে তিনি কোনো মন্দিরের ভেতরে ঢুকতে পারতেন না, বাইরে থেকেই প্রণাম করে নিতেন। ছোটে দাদাজী আপাতভাবে বড়োই শান্ত স্বভাবের ছিলেন কিন্তু কেউ নিয়মের উলংঘন করলেই সেই জুতোর মার পরতো তার ওপর।
বড় বড় রাজা মহারাজারা ছোটে দাদাজীর দর্শন করতে আসতেন এবং সাধারনের মতোই সবার সাথে মিলে ভান্ডারে ও সংঘে স্বেচ্ছায় সেবা দিতেন।
বড়ে দাদাজী সমাধি নেওয়ার পর কিছু লোক ছোটে দাদাজী কে তাঁর উত্তরাধিকারী হিসেবে মেনে নিলো না। ছোটে দাদাজীর জীবন দূর্বিসহ করে তোলার জন্য নতুন নতুন প্যাঁচ কষতো। তাদের মধ্যে ছিলো এক নাপিত। সে ছোটে দাদাজীর বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা নালিশ করল। সুপারিন্টেন্ডেন্ট লুম্বা ছোটে দাদাজী কে গ্রেফতার করতে এসে আরতি চলাকালীন ই দরবারে লাঠি চার্জের আদেশ দিলেন।শুধু তাই নয়, নিজের পিস্তল থেকে দুটো গুলিও চালালেন, যার একটা ছোটে দাদাজীর কান ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। এই ঘটনার পর খন্ডওয়া থেকে দাদাজীর মন উঠে যায়। হোশংগাবাদের কোর্ট থেকে তিনি কেস লড়েন। শুনানি ত্বরান্বিত করতে মোটা টাকা জমা করেন তিনি। ১৯৩৮ সালে কেস জেতেন ছোটে দাদাজী। সুপারিন্টেন্ডেন্ট লুম্বার ৮০ হাজার টাকা জরিমানা হয়। কেস জিতে ছোটে দাদাজী মহারাজ খণ্ডওয়া ফেরেন এবং সেই ৮০ হাজার টাকা ভস্মে ফেলে দিলেন
আরেকবার দাঙ্গার মামলায় দাদাজীর বিরুদ্ধে এক মিথ্যে সাক্ষী তৈরী করা হয়, যার সাক্ষ্য মামলা কে ভুল পথে চালিত করতে পারতো। দাদাজী উকিল রাধাকিষণ গুপ্তাজী কে বললেন শুনানি ৮ দিন পিছিয়ে দিতে। কেস শেষ হওয়ার মুখে ছিল, তাই গুপ্তাজী কোনো কথা দিতে পারলেন না, বললেন চেষ্টা করবেন। ছোটে দাদাজীর দয়ায় কেস ৮ দিন পিছিয়ে গেলো, আর আশ্চর্যজনক ভাবে ষষ্ঠ দিনে সেই মিথ্যে সাক্ষীর প্রাকৃতিক মৃত্যু হল।
ছোটে দাদাজীর ভক্তদের মধ্যে অনেকেই রাজা রাজড়ার ঘরানার ছিল। যেমন, হোলকর ঘরানার তুকোজিরাও হোলকর, সোহাওয়াল এর বীরেন্দ্র বাহাদুর সিং, গুড়ী নরেশ এবং বারাবাঙ্কির রাজা।
ভক্তরা নানাবিধ ভেঁট দিতেন দাদাজী কে। যেমন, স্নানে ব্যাবহৃত আতর কনৌজের এক ভক্তের থেকে আসত। রায়পুরের গোপীকিষণ শেঠ একটা গোটা ওয়াগন ভরে চাল পাঠাতেন ভান্ডার এর জন্য। এলাহাবাদ এর বিশ্বনাথ চৌধুরী একটি কালো রঙের ফোর্ড গাড়ী ও হোলকর ঘরানার মন্ত্রী পান্ডে সাহেব একটি প্লাইমাউথ গাড়ী দিয়েছিলেন, যেগুলো আজ ও খন্ডওয়ার দরবারে দাঁড়িয়ে আছে। দাদাজী লম্বা সফরে বেরোলে সোহাওয়ালের রাজা বীরেন্দ্র বাহাদুর সিং স্বয়ং গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যেতেন দাদাজী কে। সফরে দাদাজীর ঘুমিয়ে পড়লে গাড়ির গতি কমিয়ে দিতেন যাতে দাদাজীর ঘুম না ভেঙ্গে যায়।
শ্রী ছোটে দাদাজী এলাহাবাদ, দিল্লী, দেরাদুন, মুলতাই, নাগপুর, বেতূল, মুম্বাই, পুণা, ইন্দোর, উজ্জয়িনি তথা বহু শহরে যাত্রা করেছেন। উজ্জয়িনির দত্ত আখড়ার মহন্ত ইহলোক ত্যাগ করলেন, তাঁর স্থানে ছোটে দাদাজী সন্যপুরী মহারাজ কে বসালেন। যাত্রা পথে উজ্জয়িনি তে গেলে দাদাজী অবশ্যই তাকে দর্শন দিতেন।
শ্রী ছোটে দাদাজী ভক্ত কিষণ মিস্তিরির সাথে একবার ওঁকারেশ্বর যাত্রা করেন। সেখানে সিদ্ধনাথ মন্দির দেখে খুবই ভালো লাগল। ইচ্ছা প্রকাশ করলেনঃ এমনই এক ভব্য মন্দির খন্ডওয়ায় দাদাজী মহারাজের জন্য নির্মাণ করা হোক। কিষাণ মিস্তিরি কে আদেশ দিলেনঃ মন্দিরের নক্সা প্রস্তুত কর। ওনার বানানো নক্সা ছোটে দাদাজীর খুবই পছন্দ হল, উনি নির্মাণ কার্য শুরু করার আদেশ দিলেন। রায়পুরের গোপীকিষণ শেঠ, যিনি সংঘের ভান্ডারে চাল পাঠাতেন, তিনি মন্দিরে নির্মাণে পাথর সরবরাহ করার অনুমতি চাইলেন।
লাল পাথর আসা শুরু হলে লোকজন বলতে শুরু করল যে গোপীকিষণ ই মন্দির বানাচ্ছে। এ কথা জানতে পেরে ছোটে দাদাজী লাল পাথর এর স্থানে শ্বেত শুভ্র পাথরের মন্দির বানানোর সিদ্ধান্ত নেন। শ্রী ইন্দোর সরকার, এলাহাবাদের পৃথ্বীরাজ চন্দন এবং আরও কয়েকজন ভক্তকে মকরানা পাঠালেন শ্বেত পাথরের সন্ধানে।
মন্দিরের ভিত কাটা হলো। ভিত্তিপ্রস্তর হিসেবে খনি থেকে আনা হলো কালো পাথর। ছোটে দাদাজীর দুই ভক্ত শংকররাও আসকর এবং রাজআনন্দ খন্ডওয়ার কাছে জসবাড়ীর খনি থেকে নিয়ে আসতো খড়ি পাথর। যে গরুর গাড়ীতে করে আনা হতো, তার চালক রামদাস জী মহারাজই কয়েকবছর পর দিল্লীতে দরবার স্থাপন করেন।১৯৪২ এ ছোটে দাদাজী মহারাজ এলাহাবাদ কুম্ভে যাওয়ার আগে শংকররাও আসকর কে খড়ি পাথরের সরবরাহ চালিয়ে যেতে নির্দ্দেশ দিয়ে যান, এবং মন্দির নির্মাণ এর জন্য রাধাকৃষ্ণ গুপ্তার হাতে ৯০ হাজার টাকাও রেখে যান। এই টাকার মধ্যে থেকেই শংকররাওজী খড়ি আনতেন।
৪ঠা ফেব্রুয়ারি ১৯৪২ এ এলাহাবাদ কুম্ভে ছোটে দাদাজী মহারাজ সমাধি নেন। ওনার প্রথম শিষ্য শ্রী ইন্দোর সরকার এবং অন্য আরও ২০ জন ভক্ত ওনার পার্থিব শরীর খন্ডওয়ায় নিয়ে আসে এবং বিধিসম্মত ভাবে বড়ে দাদাজীর সমাধির পাশে ছোটে দাদাজীর সমাধি স্থাপন হয়।
ছোটে দাদাজী মহারাজের লীলা
———————————————-
কখনো কখনো শ্রী ছোটে দাদাজী মহারাজ সোয়া মন হালুয়া ও সোয়া মন পায়েস বানাতেন। ভান্ডারা তৈরী করতে থাকা ভক্তরা চিন্তায় পড়তো – এতো প্রসাদ কে নেবে! ফেলে দিতে হবে না তো! এমনই সংযোগ, যে দিনই দাদাজী অতো প্রসাদ তৈরী করাতেন ওই দিনই অনেকবেশি ভক্ত সমাগম হতো। প্রসাদের পরিমাপ যথাযত হতো।
পান্ডুনা থেকে এক ভক্ত খন্ডওয়ার এসে ছোটে দাদাজীর সেবা করতো। বাড়ীতে তার গর্ভবতী স্ত্রী এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়।খবর পেয়ে সে ছোটে দাদাজী কে বলেঃ “আপনি বলেছিলেন আমার ছেলে হবে, কিন্তু মেয়ে হল”। ছোটে দাদাজী বললেনঃ ” ছেলেই তো হয়েছে”। ভক্ত এই কথা শুনে বাড়ীতে খবর পাঠাল। বাড়ীর লোক খবর পেয়ে বাচ্চার দিকে তাকিয়ে দেখে সত্যি তো ছেলে! ভক্তিভরে দাদাজীর সেবা করায় ফল স্বরূপ দাদাজী ওর মেয়েকে ছেলে বানিয়ে দিয়েছিলেন।
সেই ভক্তের দুই ছেলে – ভগবন্ত রাও ও শীশ রাও প্যাটেল ৬ মাস ৬ মাস করে শ্রী ছোটে দাদাজীর সেবা করতো। একজন সেবা করতো, সেই সময় অন্য জন ঘর গৃহস্থি দেখাশোনা করতো। বাবা মা এর ন্যায় দুই ভাই ও শ্রী ছোটে দাদাজীর খুবই সেবা করেছিলো।
এক মহিলা, দাদাজীর ভক্ত, তার বড় ইচ্ছে ছিল দাদাজীকে আম নিবেদন করবে। অভাবের কারণে আম সে যোগার করতে পারলনা, খালি হাতেই এলো দাদাজীর দর্শনে। তাকে আশীর্ব্বাদ করে দাদাজী জিজ্ঞেস করলেনঃ “কই, আমার আম কই”। নিজের দৈন্য ঢাকতে সে বলল যে আম সে ঘরে ভুলে এসেছে। দাদাজী মিটিমিটি হেসে নিজের ডান পায়ের মোজা খুলে তার হাতে দিলেন, বললেন এরপর থেকে টাকাকড়ি জেনো এর ভিতরেই রাখে। তারপর থেকে আর কখনো তার অভাব হয়নি। তার পরিবারের কাছে আজও সেই মোজা রাখা আছে।
খন্ডওয়ায় একবার সুখা পড়লো। এক মহিলা শ্রী ছোটে দাদাজীকে বললো যদি উনি ভগবান হন তবে বৃষ্টি ঝরান। শ্রী ছোটে দাদাজী বললেনঃ ” আমি সন্যাসী, তোর ইচ্ছা কেমন করে পূর্ণ করব”। মহিলা হতাশ হয়ে ফিরে গেলো। তারপরেই শ্রী ছোটে দাদাজী যজ্ঞের আয়োজন করলেন। এবং তিন দিন তিন রাত খন্ডওয়ায় মুষলধারে বৃষ্টি হলো, সব কুয়ো ভরে গেলো।
একদিন শ্রী ছোটে দাদাজী মহারাজ শিষ্য শ্রী ইন্দোর সরকার কে বলেনঃ “যাও, তোমাকে হোলকারী দিলাম”। ছোটে দাদাজী মহারাজের সমাধির পর ইন্দোর সরকার ইন্দোরে গিয়ে যখন তপস্যা করেন তখন তুকোজীরাও হোলকর ও তাঁর পরিবার মিলে ইন্দোরজীর সেবা করেন। ছোটে দাদাজীর বাণী এই ভাবেই সত্যি হয়েছিল।