নর্মদা তটে ৬৭কোটি ৬৭হাজার তীর্থ রয়েছে। অমরকন্টক মা নর্মদার উৎসস্থল। সনাতন ধর্মে মা নর্মদার পরিক্রমার বিধি আছে। বহু বৎসর ধরে সাধু সন্ত ও সাধারণ মানুষ নর্মদার পরিক্রমা করে আসছে। শ্রী গৌরী শংকরজী, শ্রী বড়ে দাদাজী, শ্রী ছোটে দাদাজী, শ্রী বড়ে সরকারজী, আর এঁদের পর বর্তমানে শ্রী ছোটে সরকারজী এই পরম্পরা জারি রেখেছেন। দুনিয়াতে নর্মদাই একমাত্র নদী যার পরিক্রমার বিধান রয়েছে।
ছোটে দাদাজী বলতেন, যমুনা নদীতে সাত দিন, সরস্বতী নদীতে তিন দিন আর গঙ্গায় এক দিন স্নান করলে পবিত্র হওয়া যায়, আর মা নর্মদার দর্শনমাত্র পবিত্র হয়ে যায় আপামর প্রাণী। শ্রী ছোটে দাদাজী একবার নিজের এক ভক্তের সাথে ওংকারেশ্বর এ নর্মদায় স্নান করছিলেন। স্নানরত ভক্তের হাতে পিতলের একটি মূর্তি এসে ঠেকে। ছোটে দাদাজী বললেন এ মূর্তি আমাদের কুলদেবী নর্মদার। উনি সেই মূর্তি নিয়ে খন্ডওয়ায় ফিরে এলেন এবং কোঠার নামক স্থানে প্রতিষ্ঠা করলেন। নর্মদার তীর সিদ্ধি ও সাধনার কেন্দ্র। শংকরআচার্য থেকে শুরু করে আজ অবধি অগুনতি সাধু সন্ত এখানে তপস্যা করে সিদ্ধিলাভ করেছেন। এই স্থান যে তপোস্থল তার প্রমাণ মার্কন্ডেয় পুরান এবং স্কন্দ পুরাণের নর্মদা খন্ডেই পাওয়া যায়। স্কন্দ পুরাণ এ সত্যনারায়ণের কথার উল্লেখ আছে। শ্রী বড়ে দাদাজীর ভক্তদের কাছে মা নর্মদা হলেন কুলদেবী, তাই সমস্ত দাদা দরবারে দেবী হিসেবে কেবল মা নর্মদার পূজা হয়।